Friday, March 18, 2016

অবিশ্বাস্য! একেতো পাহাড় তার ওপর আবার প্রতিপক্ষ
দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দৃঢ়তায় যে সব জয় করা সম্ভব
তা বোধহয় দেখেনিলো ক্রিকেট বিশ্ব। মুখে মুখে ফিরছে যে,
 এটা কী তবে জোহানেসবার্গের সেই অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার
 ৪৩৪ ও ৪৩৮ রানের ম্যাচটার পূনরাবৃত্তি।
সেই ম্যাচটাই কী তবে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফিরে 
এলো টি-টোয়েন্টির রূপ ধারণ করে। ফিরিয়ে আনলো 
ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকা! 
মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে 
নেমে ২২৯ রানে বিশাল রানের পাহাড় গড়ে তোলে 
দক্ষিণ আফ্রিকা। 
জবাব দিতে নেমে টর্নেডো গতিতে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্য এই বিশাল লক্ষ্যও পার হয়ে গেলো ইংল্যান্ড এবং 
২ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় পেয়ে গেলো ইয়ন মরগ্যানের দল। তবে শেষ ওভারে কিছুটা রোমাঞ্চ তৈরী করেছিলেন কাইল অ্যাবট।
আর আগের ওভারে আউট হয়েছিলেন জো রুট। তাতেও কোন লাভ হলো না প্রোটিয়াদের। পরাজয় ঠেকাতে পারলো না। 
 টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ এবং টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড।
দুই ওপেনার টর্নেডো গতিতে রান তুলতে শুরু করার পর ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলো ইংল্যান্ডের 
বাকি ব্যাটসম্যানরা। জ্যাসন রয়ের ১৬ বলে ৪৩, জো রুটের ৪৪ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসই অবিশ্বাস্য জয় 
এনো দিল ইংল্যান্ডকে। আলেক্স হেলস ৭ বলে ১৭, বেন স্টোকস ৯ বলে ১৫, মরগ্যান ১৫ বলে ১২, বাটলার ১৪ বলে ২১ রান 
করে দুর্দান্ত এই জয়ে অবদান রাখেন।  
২৩০ রানের বিশাল লক্ষ্য। কিন্তু ইংল্যান্ড কোনভাবেই ভয় পায়নি। বরং, শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দিতে
শুরু করেন দুই ওপেনার জ্যসন রয় এবং আলেক্স হেলস। প্রথম ওভারেই কাগিসো রাবাদাকে ৫বার বাউন্ডারিছাড়া করেন 
ইংলিশ ওপেনাররা। দ্বিতীয় ওভারে ডেল স্টেইনের মত পেসারের ওপর আরও নির্দয় হলেন তারা দু’জন। চারটি বাউন্ডারি 
এবং ১টি ছক্কা। ২৩ রান। ২ ওভারেই ওঠে মোট ৪৪ রান।
যদিও ইংলিশদের দুর্ভাগ্য। তৃতীয় ওভারেই কাইল অ্যাবটের হাতে উইকেট দিয়ে দিলেন আলেক্স হেলস। ওভারের ৩য় বলেই এলবিডব্লিউ
হয়ে গেলেন তিনি। এরপর জ্যসন রয়ের সঙ্গে জুটি বাধতে আসেন বেন স্টোকস। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ টেকেনি। 
স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ৭১ রানে আউট হন জ্যাসন রয়। 
বেন স্কোকস ফিরে যান দলীয় ৮৭ রানে। মরগ্যান আউট হন দলীয় ১১১ রানে। এরপরই ৭৫ রানের জুটি গড়েন জস বাটলার 
এবং জো রুট। ১৮৬ রানে বাটলার আউট হন। ২১৯ রানে জো রুট।
খেলার এমন পর্যায়ে এসে মনে হতে পারে যে, এরপর নিশ্চই এক রানের জন্য আর তেমন কষ্ট হয়নি। না তা নয়।
 ক্রিকেট যে অনিশ্চতয়তার খেলা তার প্রমাণ চাক্ষুস হলেন ওয়াংখেড় সহ সারা দুনিয়া। ২২৯ রানের পর জয়ের 
কাছ থেকে মাত্র এক রানের দুরত্বে এসে ক্রিস জর্ডান এবং ডেভিড উইলিকে সাজঘরে ফিরতে হয় খালি হাতেই। 
রুদ্ধশ্বাসে স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষ আর টিভি সেটের সামনে বসা মানুষদের। তবে কি আর জয় পাচ্ছে না ইংল্যান্ড! 
না সেই শঙ্কা দূর করে দেন মইন আলী। শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড।

No comments:

Post a Comment